সবচেয়ে বেশি ৪৮ দল আগামী বছরের ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নেবে। সেখানে এরই মধ্যে ১০ দলের টিকিট পাকা। যেখানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৮৬ নম্বর দল নিউজিল্যান্ড এরই মধ্যে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। অথচ ৯ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ের ইতালির যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আসলে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অঞ্চল ভিত্তিক যে কোটা সেখানেই বারবার বাধা পরে যাচ্ছে ইতালি। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছরের জুনে যে বিশ্বকাপ শুরু হবে সেখানে ইউরোপ থেকে সরাসরি বাছাইয়ে মোট ১২ টি দেশ অংশগ্রহণ করতে পারবে। আর সেই বাছাই করতে গিয়েই ইউরোপের ৫৪টি দেশকে দশটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে ইতালি পরেছে গ্রুপ ‘আই’তে। সেখানে ইতালি ছাড়াও রয়েছে নরওয়ে, ইসরায়েল, এস্তোনিয়া আর মালদোভা।
গ্রুপের শীর্ষ দলটি সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। শুক্রবার রাতে অসলোতে ইতালি নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ৩–০ গোলে হেরে যায় নরওয়ের কাছে। এখনও বাকি তাদের সাতটি ম্যাচ। তবে আর্লিং হালান্ডদের কাছে হেরে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে আজ্জুরিরা। কেননা গ্রুপে ইতালির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী এই নরওয়ে। যদিও আগামী মার্চের মধ্যে ফিরতি ম্যাচে নরওয়েকে সামনে পাবে ইতালি। তখন বদলা নিতে পারলে হয়তো বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার কপাল খুলে যেতে পারে তাদের।
২০১৮ এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি ইতালি। গতবারের আসরেও এভাবেই গ্রুপে শীর্ষ থাকতে না পারার কারণে প্লে অফ খেলে দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছিল ইতালি। কিন্তু চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সেবারও ভাগ্য খুলেনি বিশ্বকাপের। এবারও বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট দেন্নারোমাদের। যা নিয়ে নিজের হতাশা চেপে রাখতে পারেননি ইতালি কোচ লুসিয়ানো স্পালোত্তি।
‘এরকম খেলতে থাকলে দুর্ভাবনা তো আছেই। সময়টা খুব কঠিন যাচ্ছে আমাদের।’ দলের একাধিক তারকা ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করার পরেও দেশের হয়ে খেলতে এসে যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। কোচ স্পালোত্তির কথাতেও সেই আফসোস। ‘ব্যক্তিগতভাবে ফুটবলারদের আরও প্রাণবন্ত হতে হবে, আরেকটু উদ্যমী হতে হবে। বাড়তি কিছু অবশ্যই যোগ করতে হবে। তা নাহলে কিছুই বদলাবে না।’