করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরিমার্জিত কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) আগের পরিকল্পনা মাফিক ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। তবে, ২০২১ খ্রিষ্টব্দে প্রতিটি শ্রেণিতে ব্যবহারের জন্য শিক্ষকদের নতুন কারিকুলামের গাইডলাইন দেয়া হবে।
ঙ্গলবার (২ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘২০২১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু করার পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্ব করেন।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পরিমার্জিত নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। পরিবর্তিত কারিকুলামে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আর প্রাথমিকের শিশুদের বোঝা কমাতে বই কমিয়ে দেয়ার প্রস্তাবও ছিল এ কারিকুলামে।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাদরসসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, শিক্ষাক্রম প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা এনসিটিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করোনার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। তবে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষকদের জন্য নতুন কারিকুলামের গাইড তৈরি করা হবে। যাতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষকরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে পারেন।