এমন অবস্থায় এবারের ঈদকে ‘অস্বাভাবিক’ হিসাবে মূল্যায়ন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
”এ এক অস্বাভাবিক ঈদ। এই ঈদের মতো ঈদ আমরা কখনও দেখি নাই। একাত্তরের সালে ঈদ এসেছিল আতঙ্কের মধ্যে। এবার তো মানুষ বেরোতেই পারছে না।
”ঈদের অনেক অনুষঙ্গ থাকে। অনেক আনন্দের উপলক্ষ তৈরি হয়, কেনাকাটা হয়। বোনাস পেলে বিপুল কেনাকাটা হয়, তাতে বিক্রেতাদের মধ্যেও লাভের বিষয় থাকে। এবার তা নেই।”
ঈদের অনুষঙ্গে সামাজিক মেলামেশা দিক এবার বিতাড়িত হওয়ার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক চৌধুরী বলেন, “ঈদ শিশু-কিশোরদের জন্য এটা বড় আনন্দের উপলক্ষ, তারা সবচেয়ে বেশি উপভোগ করে। এবার তো তারা বড় বিপদের মধ্যে আছে।
“ঈদের আনন্দটা আর পাওয়া যাচ্ছে না। ঈদের যে সামাজিকতা আছে, সেটাও নাই। মানুষ আত্মীয়-স্বজনকে দেখতে বাড়ি যায়, এবার যাচ্ছে না। উল্টো ভীতির মধ্যে আছে।”
অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে আসা ঈদের আগের দিন করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে কেড়ে নিয়েছে ২৮ জনের প্রাণ। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৪৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩৩ হাজার ৬১০ জনকে।
’ভিন্ন প্রেক্ষাপটে’ আসা ঈদ উদযাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ঈদ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট মহামারীর ফলে এ বছর ঈদুল ফিতর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পালিত হবে। এ কঠিন সময়ে আমি সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
“একই সাথে আমি দেশবাসীর প্রতি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপনের আহ্বান জানাচ্ছি। নিজে ভালো থাকি-অন্যকে ভালো রাখি – এটাই হোক এবারের ঈদে সকলের প্রত্যাশা।”