বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এপিবিএনের তিন সদস্যকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ রায় দেন। এর আগে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে বিচারক রায় পরা শুরু করেন। মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক ৩০০ পৃষ্ঠার রায় প্রস্তুত করেন।
এর আগে দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে সিনহা হত্যা মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায়ের সময় আদালতে হাজির ছিলেন মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণবিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য প্রায় এক মাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি। ওই কাজে তার সঙ্গে ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ।
হত্যাকাণ্ডের ৬ দিন পর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে লিয়াকত-প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছিলেন।