দীর্ঘ ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। আপাতত মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা নেই বলে জানা গেছে।
শিক্ষামন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে আগে স্থগিত থাকা পরিক্ষা গুলো নেওয়া হবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দুই দিন পর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিস্কারের নির্দেশ দেওয়া৷ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলোর শিক্ষার্থীদের টীকা দেওয়ার কাজ জোরেশোরে চলছে।সরকার মুলত চাইছে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলে দিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের যে সকল পরিক্ষা গুলো স্থগিত হয়ে আছে সেগুলো শেষ করতে। এরপরে আটকে থাকা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষা শেষ করতে। এরপর পর্যায়ক্রমে কলেজ ও স্কুল গুলো খুলে দেওয়ার চিন্তা করছে নীতিনির্ধারকেরা।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী নভেম্বর ডিসেম্বরে সীমিত পরিসরে কেবলমাত্র গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি বিষয়৷ নিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষা নেওয়া হবে। সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলে দেওয়া সম্ভব হলে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের ৪৪ লাখ শিক্ষার্থী আড়াই থেকে তিন মাস ক্লাস করার সুযোগ পাবে। এতে তাদের শিখন ঘাটতি কিছুটা হলে দূর করা সম্ভব হবে। সুত্রঃ ঢাকা পোস্ট
মাধ্যমিক বিদ্যালয় না খোলার পেছনে যুক্তি হলো চলতি শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষ। এখন৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও অর্ধ বার্ষিক বা বার্ষিক পরিক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। তবে সব পরিকল্পনা নির্ভর করছে একমাসের মধ্যে কত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা যায় তার উপর।