প্রায় তিন লক্ষাধিক নিবন্ধন সনদধারী এবং নিবন্ধন বিহীন ইনডেক্সধারী বেসরকারি (এমপিও) শিক্ষক এখন থেকে কর্মস্থল (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) পরিবর্তনের জন্যে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে NTRCA-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন (পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং সিনিয়রিটি সহ)।ইতিপূর্বে চলতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে অনিবন্ধিত ইনডেক্সধারীদের আবেদনের অপশন খুলতে ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। মামলাটি করেছিল ঢাকার জাকির হোসেন,খাগড়াছড়ির নাজির হোসেন, লক্ষ্মীপুরের কায়দা আজম জয়,ফেনীর কাজী আমজাদ হোসেন, সুনামগঞ্জের দীলিপ সরকারসহ ১১১ জন।যেটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। সে রায়ের আলোকেই আরেকটি মামলার রায় প্রদান করেন আজ।অধ্যক্ষ থেকে পিয়ন পর্যন্ত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলির জন্য মামলাটা চলমান আছে। মামলাটি পরিচালনা করেন বদলি বাস্তবায়ন কমিটির বিভিন্ন জেলার জেলা সমন্বয়ক বৃন্দ।
ইতোপূর্বে নীতিমালায় থাকলেও বেসরকারি (এমপিও) শিক্ষকগণের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে চাকরি বহাল রেখে কর্মস্থল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ ছিলোনা, বরং অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্যে অন্যান্য সকল প্রার্থীদের সাথে নতুন করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা লাগতো। আবার যাঁদের শুধু ইনডেক্স ছিলো কিন্তু নিবন্ধন ছিলোনা তারা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার সুযোগ পেত না। ৭১ জন শিক্ষকের পক্ষে গত বছর দায়ের করা রিট পিটিশনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল ও মাননীয় বিচারপতি রাজিক আল জলিলের দ্বৈত বেঞ্চ আজ এ রায় প্রদান করেন। রিট আবেদনকারী ৭১ জন শিক্ষকের
পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার নূর মুহাম্মদ আজমী (মিল্লাত)। তাঁকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মিজান-উর রশীদ এবং এডভোকেট এ এস এম সায়েম।
প্রসঙ্গতঃ বদলির দাবিতে দুটি মামলা পরিচালনা ও রায় হলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় বদলি প্রত্যাশী শিক্ষকরা দফায় দফায় আন্দোলন ও সরকারের সাথে আলোচনা করতেছে।