রগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামির ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে।
রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনা কোর্টের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর পিকু পুলিশের বিশেষ প্রহরায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার যাবতীয় নথিসহ ডেথরেফারেন্স নিয়ে আসেন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দেন আদালত। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।
এ ছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার অন্যতম আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছে। এছাড়া মিন্নি উচ্চ আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে ছিলেন। এর আগে এ বছরের ১ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। আর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৮ জানুয়ারি।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়।